ডায়াবেটিস কি? কেন? বেঁচে থাকার উপায়/What is diabetes? Why? way to survive
ডায়াবেটিস কি? কেন? বেঁচে থাকার উপায়/What is diabetes? Why? way to survive
ডায়াবেটিস কি?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, 1980 সালে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় 11 মিলিয়ন। 2014 সালে তা বেড়ে 42 কোটির বেশি হয়েছে। 1980 সালে, 18 বছরের বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ ছিল 5 শতাংশের কম, কিন্তু 2014 সালে তাদের সংখ্যা আশির দশকে 5 শতাংশে উন্নীত হয়।
সুচিপত্র
- ডায়াবেটিস কি?
- জেনে নিন কিভাবে ডায়াবেটিস হয়
- ডায়াবেটিসের প্রকারগুলি
- ডায়াবেটিস কেন?
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যা করতে হবে
- ডায়েট এবং অতিরিক্ত সতর্কতা
কি মনে রাখা উচিত
সারাক্ষণ ডায়াবেটিসের নাম শোনা যায়। আমরা কি সত্যিই জানি ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিস একটি বিপাকীয় রোগ। আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের পরম বা আপেক্ষিক অভাব বিপাকীয় ব্যাধির দিকে পরিচালিত করে যা রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং এক পর্যায়ে তা প্রস্রাবে নির্গত হয়। এই সামগ্রিক অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়।
জেনে নিন কিভাবে ডায়াবেটিস হয়
- ঘন মূত্রত্যাগ
- খুব তৃষ্ণার্ত
- আরো ক্ষুধার্ত হচ্ছে
- ওজন কমানোর পরে ক্লান্তি এবং ক্রমাগত ক্লান্তি দেখা দেবে
- ক্লান্ত এবং দুর্বল বোধ
- বিলম্বিত ক্ষত নিরাময়
- ডার্মাটাইটিস, ফোঁড়া ইত্যাদি।
- চোখ কম দেখা যায়
ডায়াবেটিসের প্রকারগুলি
ডায়াবেটিস প্রধানত চার প্রকার।
ক) টাইপ 1 (টাইপ 1) – এই ধরনের রোগীদের শরীরে ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। এই ধরনের ডায়াবেটিস 30 বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায় (গড় বয়স 10-20 বছর)। এমন রোগীকে সুস্থ থাকতে ইনসুলিন নিতে হয়। এই ধরনের রোগীরা সাধারণত কৃষক।
b) টাইপ 2 (টাইপ 2) – এই বিভাগের বেশিরভাগ রোগীর বয়স 30 বছরের বেশি। তবে ত্রিশ বছরের নিচে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ ধরনের রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় কিন্তু তা পর্যাপ্ত হয় না বা শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়। কখনও কখনও এই দুটি কারণ একসাথে ঘটতে পারে। এই ধরনের রোগীরা ইনসুলিন নির্ভর নয়। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই ধরনের রোগীরা প্রায়ই মোটা হয়।
গ) অন্যান্য নির্দিষ্ট কারণের উপর ভিত্তি করে ক্লাস-
জেনেটিক্স ইনসুলিন উত্পাদন হ্রাস করে
জিনগত কারণ ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়
অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ
অন্যান্য হরমোনের আধিক্য
ওষুধ এবং রাসায়নিকের এক্সপোজার
সংক্রামক রোগ
অন্য কোনো প্রতিরোধের জটিলতা
এই ধরনের রোগীরা দুর্বল এবং অপুষ্টির শিকার এবং ইনসুলিন ছাড়াই বেশ কয়েকদিন বেঁচে থাকতে পারে। এই ধরনের রোগীর বয়স 30 বছরের কম।
ঘ) গর্ভকালীন ডায়াবেটিস-
মায়েদের ডায়াবেটিস প্রায়ই গর্ভাবস্থায় নির্ণয় করা হয়। প্রসবের পর ডায়াবেটিস হয় না। এই ধরনের জটিলতাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়। গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস গর্ভবতী মহিলা, ভ্রূণ, মা এবং নবজাতকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে এটি ইনসুলিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। এই ধরনের রোগীদের প্রসূতি হাসপাতালে পরিবহন করা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস কেন?
আমরা যখন খাবার খাই তখন আমাদের শরীর সেই খাবার থেকে চিনি ভেঙ্গে চিনিতে (গ্লুকোজে) পরিণত হয়। হরমোন ইনসুলিন, যা অগ্ন্যাশয় দ্বারা নিঃসৃত হয়, আমাদের শরীরের কোষগুলিকে চিনি শোষণ করার জন্য সংকেত দেয়। এই চিনি শরীরের জন্য জ্বালানি বা শক্তি হিসেবে কাজ করে। শরীর যখন ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা সঠিকভাবে কাজ করে না তখন ডায়াবেটিস হয়। ফলে ব্লাড সুগার বাড়তে শুরু করে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায়
বর্তমানে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটির বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটি 30 বছর আগের তুলনায় চারগুণ বেশি
ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিরাময় বা নিরাময় করা যায় না। তবে রোগটিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এ ব্যাপারে চিকিৎসক রোগীকে সাহায্য করতে পারেন। সম্প্রতি, আরগান ফার্মাসিউটিক্যালস (AYU) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য চমৎকার চিকিৎসা প্রদান করছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কি করতে হবে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চারটি নিয়ম মেনে চলতে হবে:
একটি নিয়ন্ত্রিত খাদ্য খাওয়া
ব্যায়াম এবং ব্যায়াম যতটা আপনি পারেন
ওষুধ
শিক্ষা
ডায়েট এবং অতিরিক্ত সতর্কতা
আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খান (ডাল, শাকসবজি, আচারযুক্ত ফল ইত্যাদি)।
উদ্ভিজ্জ তেল, অর্থাৎ সয়াবিন তেল, সরিষার তেল ইত্যাদি এবং সব ধরনের মাছ খেতে হবে।
ওজন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
চাল, ময়দা, মিষ্টি ফল ইত্যাদি অল্প পরিমাণে খেতে হবে।
ঘি, মাখন, চর্বি, ডালডা, মাংস ইত্যাদি কম খান।
আপনি যদি অন্য কোনো রোগে ভুগছেন, অর্থাৎ অসুস্থতার ক্ষেত্রে বিশেষ ডায়েট জানতে হবে।
কি মনে রাখা উচিত
নিয়মিত এবং সুষম খাদ্য খান
নিয়মিত বা মাঝারি ব্যায়াম পান
চিকিৎসকের পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে
শরীর পরিষ্কার রাখতে হবে
পায়ের যত্ন নিন
নিয়মিত প্রস্রাব পরীক্ষা করান এবং প্রস্রাব পরীক্ষার খাতায় ফলাফল লিখুন
চিনি, মিষ্টি, গুড়, মধু সম্পূর্ণরূপে বাদ দিতে হবে।
ধূমপান করতে পারে না
শারীরিক কোনো সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো কারণে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা বন্ধ করা যাবে না