অন্যান্যসব খবরসারাদেশ

পেঁয়াজের কেজি দেড়শ টাকা ছাড়িয়েছে, আলুর দামও বেড়েছে।

দেশি পেঁয়াজের কেজি এখন ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এর পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। এছাড়া আলুর দাম কেজিতে ৫–১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। অতিবৃষ্টির কারণে চাষে সমস্যা হওয়ায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে আসতে কিছুটা দেরি হবে। পাশাপাশি আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কাঁঠালবাগান ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

খুচরা বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে ১৫০–১৬০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তবে সাধারণ মানের পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১২৫–১৪০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও বেড়ে এখন ১১০–১২০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১০–২০ টাকা কম ছিল।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে এবং এক বছরের ব্যবধানে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও গত এক মাসে প্রায় ৮ শতাংশ এবং এক বছরে ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

পেঁয়াজের আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে কৃষকের কাছে দেশি পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষের দিকে। সাধারণত অক্টোবরের মধ্যেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসে, যা দামের নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়। তবে এবার অতিবৃষ্টির কারণে চাষে দেরি হওয়ায় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসতে আরও ১৫–২০ দিন লাগতে পারে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম বেড়ে বর্তমানে ৬০–৬৫ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে, পাড়ামহল্লার দোকানে এর দাম আরও ৫ টাকা বেশি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫–১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, পাইকারিতে আলুর দাম এখন ৫৬–৫৮ টাকা প্রতি কেজি।

তবে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৫০–১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহে ৫ টাকা বেশি ছিল। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৯০–২০০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি ২০ টাকা কমে ২৮০–৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০–১৬০ টাকা দরে, যা দুই সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকার ওপরে ছিল। অন্যান্য সবজি যেমন পটোল, লাউ, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, মিষ্টিকুমড়া ৫০–৬০ টাকায়; বেগুন ৮০–১২০ টাকায়; করলা ও কাঁকরোল ৮০–১০০ টাকায় এবং পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে বেশিরভাগ সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে ছিল। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমবে।


Discover more from দৈনিক বঙ্গভূমি

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

আরও দেখান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Translate »

Discover more from দৈনিক বঙ্গভূমি

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading