ডেস্ক রিপোর্ট
ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক তরুণীকে হত্যা করে তার মরদেহ ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন ওই তরুণীর প্রেমিক। দুজনেই একই কর্মস্থলে কাজ করতেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বেঙ্গালুরু পুলিশ অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছে, মহালক্ষ্মী নামের ওই তরুণী তার প্রেমিকের হাতে খুন হন। সন্দেহভাজন অভিযুক্তের ভাইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়টি জানা গেছে।
অনলাইনে আয় করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
মহালক্ষ্মী ও অভিযুক্ত একটি শপিং মলে কাজ করতেন। ২০২৩ সালে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেঙ্গালুরুতে থাকতে শুরু করেন মহালক্ষ্মী। সেখানেই ওই সহকর্মীর সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু মহালক্ষ্মী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন সন্দেহে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।
সন্দেহভাজন হত্যাকারীর ভাই পুলিশকে জানিয়েছেন, তার ভাই এক ফোন কলের মাধ্যমে অপরাধ স্বীকার করে এবং তারপর শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ধারণা করছে যে, অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গ-উড়িষ্যা সীমানায় লুকিয়ে রয়েছে, কারণ তার মোবাইল ফোনের সর্বশেষ অবস্থান সেখানেই শনাক্ত হয়েছে। পুলিশি দল বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য।
২৯ বছর বয়সী মহালক্ষ্মী বেঙ্গালুরুর মল্লেশ্বরমে থাকতেন, আর তার স্বামী মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করতেন। সম্প্রতি মহালক্ষ্মীর ফ্ল্যাটের ফ্রিজ থেকে তার দেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর তার দেহ অন্তত ২২ টুকরো করা হয়েছিল এবং এই হত্যাকাণ্ড কয়েকদিন আগে ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।